Friday, October 2, 2015

সিরাতে মুস্তাকিম কিতাব এর বাতিল আক্বিদা স্ক্যানিং সহ - ০৩

"হাদীসশরীফের বর্ণনা চোর ও জিনাকারের ঈমান চুরি ও জিনার সময় পৃথক হয়ে যায়।ঠিক তেমনিভাবে মাজারশরীফে অবস্থান করে দোয়া করার সময় অধিক পরিমাণে ঈমান ধ্বংস হয়ে যায়। অজ্ঞতার ওজর না থাকলে তারা পরিস্কার কাফের হয়ে যেতো। জিয়ারতকারী ব্যক্তি যদি আলেম হয়, দোয়া করার সময় নি:সন্দেহে কাফির।"(সিরাতে মুস্তাকিম-১০৫ পৃষ্ঠা) [স্ক্যানিং প্রদত্ত করা হলো]

সিরাতে মুস্তাকিম কিতাব সৈয়দ আহমদের বাণী ইসমাইল দেহলভী লিখেছেন বলে জৈনপুরী কেরামত আলী সাহেব তা জখিরায়ে কেরামত- ১/২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন।
ফুলতলীর ইমাদ উদ্দিন সাহেব ও সোনাকান্দার পীর সাহেব আনিছুত তালেবীন- ৪/৫১ পৃষ্ঠায় তা সমর্থন করেছেন।
অনুরূপ মাও: মওদুদী সাহেবের 'ইসলামী রেঁনেসা আন্দোলন' ৭৬ পৃষ্ঠায় রয়েছে-
যারা মনষ্কামনা পুরণ করার জন্য আজমির অথবা সালারে মাসউদের কবরে বা এই ধরনের অন্যান্য স্থানে যায়,তারা এত বড় গোনাহ করে যে, হত্যা ও জিনার গোনাহ তার তুলনায় কিছুই নয়।’ (নাউজুবিল্লাহ)

ইসলামী আক্বিদাঃ

সৈয়দ আহমদ বেরলভীর পীর ও মুর্শিদ ত্রয়োদশ শতাব্দীর মোজাদ্দিদ শাহ আব্দুল আজিজ মোহাদ্দিসে দেহলভী (আলাইহির রহমত) তদীয় তাফসিরে আজিজি ৩০ পারা ১১৩ পৃষ্ঠা ফার্সী উল্লেখ করেন-

‘অভাবগ্রস্থ ও কঠিন সমস্যায় নিমজ্জিত ব্যক্তি যদি ঐ সব ওফাতপ্রাপ্ত ওলীগণের নিকট হুজুরী দিয়ে নিজের হাজত পূরনের জন্য আরজী পেশ করে তা অবশ্যই পেয়ে থাকবেন।কেননা আউলিয়ায়ে কেরামগণ খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের মুশকিলাতকে দূর করে দিয়ে থাকেন।’

একাদশ শতাব্দীর মোজাদ্দিদ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (আলাইহির রহমত) তদীয় মিরকাত শরহে মিশকাত’ নামক কিতাবের ২/৪০৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-

‘সকল উলামায়ে কেরামগণ ঐকমত্য পোষন করেছেন যে,পুরুষদের জন্য কবর জিয়ারত করা সুন্নত।’
সুতরাং সকল নবীপ্রেমিক ঈমানদারদের জন্য গভীরভাবে অনুধাবন করার প্রয়োজন যে,সৈয়দ আহমদ বেরলভীর ‘মলফুজাত’ বক্তব্যের দরুণ তার পীর ও মুর্শিদ শাহ আব্দুল আজিজ মোহাদ্দিসে দেহলভী সহ সকল আউলিয়ায়ে কেরাম ও উলামায়ে কেরামগণ কাফের সাব্যস্থ হয়ে গেলেন। (নাউজুবিল্লাহ)

No comments:

Post a Comment