Wednesday, September 16, 2015

নজদীরা - হেরামাইন শরীফাইনের মুসলমানদের উপর অত্যাচার ও আহলে বাইয়াতের কবরসমূহ ভেঙ্গে ধুলিস্যাৎ করেছিলো

হেরামাইন শরীফাইনের মুসলমানদের উপর অত্যাচার ও আহলে বাইতের কবরসমূহ ভেঙ্গে ধুলিস্যাৎ করা
নজদী ওহাবী পন্থীদের অত্যাচার-নিপীড়নের কিঞ্চিৎ বর্ণনা আল্লামা শামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার সুপ্রসিদ্ধ কিতাব রদ্দুল মুখতার এর ৩য় খণ্ড বাবুল বুগাতের শুরুতে লিপিবদ্ধ করেছেন-

كما وقع فى زما ننا فى اتباع عبد الوهاب الذين خرجو من نجد وتغلبو على الحرمين وكانوا ينتحلون الى الحنابلة لكن هم اعتقدوا انهم المسلمون وان من خلف اعتقادهم مشركون واستباحو بذلك قتل اهل السنة وقتل علماء هم حتى كسر الله شوكتهم وخر- بلادهم وطفر بهم عساكر المسلمين عام ثلث وثلثين ومأتين والف
"যেমন আমাদের সময়ে সংঘটিত আব্দুল ওয়াহহাবের অনুসারীদের লোম হর্ষক ঘটনা প্রবাহ প্রণিধানযোগ্য।তারা নজদ থেকে বের হয়ে মক্কা মদিনার উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলো।তারা নিজেদেরকে হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী বলে দাবি করতো।আসলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো,তারাই শুধু মুসলমান আর বাকী সব মুশরিক।এজন্য তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের হত্যা করা জায়েয মনে করেছে এবং এদের অনেক আলেমকে হত্যা করেছেন।শেষ পর্যন্ত আল্লাহতা’য়ালা তাদের অহংকার চুর্ণ করে তাদের শহরগুলোকে বিরান করে দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী সেনাবাহিনী।জয়যুক্ত করেছেন।এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ১২৩৩ হিজরিতে সংঘটিত হয়েছিলো।"

সরদার মুহাম্মদ হাসানী নিজের কিতাব ‘সাওয়ানিহ এ হায়াতে সুলতান’ ইবনে সাউদ-এ লিখেছেন-
‘শায়খ তার নিকট থেকে এ মর্মে শপথ নিয়েছে যে,সে উক্ত মাজারসমূহ এবং তৎসংলগ্ন স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার ক্ষেত্রে মদদ যোগাবে।ইবনে মুআম্মার তা গ্রহণ করলো।উভয়ে পরামর্শ করে একমত হয়ে জালিলায় গিয়ে উপস্থিত হলো।সেখানে নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কয়েজন সাহাবী (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এর মাজার ছিলো।তারা উভয়ে মাজারগুলো ধ্বংশ করে দিলো। (হারাম শরীফের মুফতি আল্লামা যায়নী (আলাইহির রহমত) লিখেছেন যে,একের পর এক আরবের অনেক গোত্র তার আনুগত্য স্বীকার করতে শুরু করে।এমনকি সে শক্তিশালী হয়ে উঠলো।জঙ্গলি মরুবাসী গ্রাম্য লোকেরা তাকে ভয় করতে লাগলো। ঐ গ্রাম্য লোকেরা সম্পূর্ণরূপে মূর্খ ছিলো। দ্বীন সম্পর্কে আদৌ জ্ঞাত ছিলনা। (ওহাবী মাযহাবের হাক্বীকত ১১৪ পৃষ্ঠা)

‘সাইফুল জব্বার’ ও অসংখ্য কিতাবে তাদের অত্যাচারের অগণিত ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তারা পবিত্র মক্কা-মদিনার নিরীহ লোকদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, হেরামাইন শরীফাইনে বসবাসকারী স্ত্রী-কন্যাদের ধর্ষণ করেছে।পুরুষদেরকে দাস আর নারীদেরকে দাসিতে পরিণত করেছে। সৈয়দ বংশের অনেককে হত্যা করেছে।এমনকি মসজিদে নববীর সমস্ত ঝাড় লুণ্ঠন ও গালিচা উঠিয়ে নজদে নিয়ে যায়।সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম ও আহলে বায়েতের কবরসমূহ ভেঙে ধুলিষ্যাৎ করে দিয়েছে।এমনকি যে,পবিত্র রওজা শরীফকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ফিরিস্তাগণ সালাত ও সালাম পাঠ করেন।সেটাও ধরাশায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।কিন্তু যেই লোকটি সেই অসৎ উদ্দেশ্যে রওজাপাকের কাছে গিয়েছিলো, আল্লাহর তরফ থেকে নিয়োজিত একটি সাপের কামড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।আল্লাহতা’য়ালাই তাঁর হাবিব হুজুরপাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শেষ বিশ্রামস্থলকে ওদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন।(সুবহানাহুতায়ালা)

No comments:

Post a Comment