Sunday, September 20, 2015

সৈয়দ আহমদ বেরলভী হচ্ছেন নজদী ওহাবীদের নেতা

বিশিষ্ট লেখক এম.আর আখতার মুকুল কর্তৃক লিখিত কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবি নামক পুস্তকের ভাষ্যমতে-

‘ভারত উপমহাদেশে যারা মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ভ্রান্ত (ওহাবী) মতবাদকে আমদানী করেছিলেন তারা হচ্ছেন- (১) হাজী শরিয়ত উল্লাহ ও (২) তদীয় পুত্র মুহাম্মদ মহসিন ওরফে পীর দুদু মিয়া, (৩) নিসার আলী ওরফে তিতুমির, এবং (৪) সৈয়দ আহমদ বেরলভী।’ (এম.আর আখতার মুকুল কর্তৃক লিখিত ‘কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী’ নামক পুস্তক ৮২ পৃষ্ঠা ১ম সংস্করণ)

‘প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে, তিতুমীর হজ্ব করার উদ্দেশ্যে মক্কায় গমন করলে সেখানেই ওহাবী নেতা সৈয়দ আহমদ বেরলভীর সঙ্গে সাক্ষাত হয়।তিনি পবিত্র মক্বা নগরীতে অবস্থানকালে সৈয়দ আহমদ এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন’
(কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী ৮৪ পৃষ্ঠা)

‘ঐতিহাসিক তথ্য থেকে দেখা যায় যে ওহাবী নেতা সৈয়দ আহমদ বেরলভী ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
এদিকে টুংকু সরদার আমীর খান ইংরেজদের বশ্যতা স্বীকার করলে সৈয়দ আহমদ বেরলভী ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে বেরলভী থেকে →→→ দিল্লীতে গমন করে তৎকালীন অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম মাওলানা শাহ আব্দুল আজিজ (আলাইহির রহমত) এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন,
ফলে তিনি আটনা কেন্দ্রের দুইজন বিশ্বস্ত অনুসারী শাহ ইসমাইল ও আব্দুল হাই তার প্রতিনিধি বা খলিফা নিযুক্ত করে নিজেদের মতাদর্শ প্রচার অব্যহত রাখা ছাড়াও অত্যন্ত সংগোপনে জেহাদের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশদান করেন।......গবেষক মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহর মতে পবিত্র হজ্ব পালনের পর সৈয়দ সাহেব মধ্যপ্রাচ্যে বহু দেশ সফর করেন এবং একমাত্র কনসতান্তিনোপলেই (ইস্তাম্বুলেই) শিষ্য ও দর্শনার্থীদের নিকট থেকে লক্ষাধিক টাকা নজরানা পেয়েছিলেন।এ সময় তিনি (সৈয়দ আহমদ বেরলভী) মুহাম্মদ (ইবনে) আব্দুল ওহাব- এর বেশ ক’জন অনুসারীর সংস্পর্শে আসেন এবং তার চিন্তাধারা পরিধির ব্যাপ্তি ঘটে। অতঃপর সৈয়দ আহমদ ১৮২৩ সালের অক্টোবরে দেশে প্রত্যাবর্তন করে দিল্লীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

‘সৈয়দ আহমদ বেরলভী সীমান্ত প্রদেশের আফগান এলাকায় পৌঁছানোর পর তার প্রতিনিধিরা যেভাবে বাংলা ও বিহার এলাকা থেকে অর্থ ও নতুন রিক্রুট করা মুজাহিদ ট্রেনিং প্রদানের পর নিয়মিতভাবে প্রেরণ করেছে তা এক অবিস্মরনীয় ঘটনা।এজন্য শহরেই প্রতিষ্ঠিত হলো ওহাবীদের প্রধান কেন্দ্র আর দ্বিতীয় কেন্দ্রটি গড়ে উঠলো মালদহে।

এ সময় মৌলভী বেলায়েত আলী চট্রগ্রাম,নোয়াখালী,ঢাকা,ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ও বরিশাল এলাকায় এবং পাটনার এনায়েত আলী পাবা, রাজশাহী,মালদহ,বগুড়া,রংপুর, এলাকায় কট্রর রণশীল ওহাবী মতাদর্শ প্রচার ছাড়াও অন্যান্য বাঙালী মুসলমান যুবককে মুজাহিদ হিসেবে সংগ্রহ করেন।’ (কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী ৮৬/৮৭ পৃষ্ঠা)

No comments:

Post a Comment